ছবি: সংগৃহীত
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এর নাফরমানি ও তার আদেশ নিষেধ অমান্যের কারণে কবরে শাস্তি ভোগ করতে হবে। বিশেষ করে গীবত এবং পেশাব থেকে পরিষ্কার পরিছন্নতা অর্জন না করার কারণে কবরের আজাব হবে ভয়াবহ।
হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে নবী করিম (সা.) একদিন কোথাও যাওয়ার সময় পথে সঙ্গীদের দুইটি কবর দেখিয়ে বলেন, এ দুইটি কবরে আজাব হচ্ছে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এদের একজন পেশাব করে পবিত্র থাকত না এবং অপরজন চোগলখোরি (কুটনামি) করে বেড়াত। (বুখারি হাদিস: ৬০৫৫)
সুতরাং আমাদের সকল প্রকার গুনাহ থেকে বাচতে হবে। চোগোলখোরী এবং গীবত থেকে বাচতে হবে। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, হুজাইফা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘চোগলখোর জান্নাতে প্রবেশ করবে না’। (মুসলিম, হাদিস: ১৫১) কোনো ব্যক্তি তার এক ভাইয়ের মান-সভ্রমের হানি ঘটান তুল্য পাপ’অর্থাৎ গীবত করা চোগোলখোরী করা।
হজরত আবু বারযাহ আল-আসলামী (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘হে সেসব লোক যারা কেবল মুখেই ঈমান এনেছে কিন্তু ঈমান অন্তরে প্রবেশ করেনি! তোমরা মুসলিমদের গীবত করবে না ও দোষ ত্রুটি তালাশ করবে না। কারণ, যারা তাদের দোষ ত্রুটি খুঁজে বেড়াবে আল্লাহও তাদের দোষ ত্রুটি খুঁজবেন। আর আল্লাহ কারো দোষ ত্রুটি তালাশ করলে তাকে তার ঘরের মধ্যেই অপদস্থ করে ছাড়বেন’। সূএ : ডেইলি-বাংলাদেশ